সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয়া হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যোগাযোগ করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচটিএস গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে অবস্থান পাল্টে এবার প্রথমবারের মতো এমন পদক্ষেপ নিল জো বাইডেন প্রশাসন।
জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, “ওয়াশিংটন এইচটিএস-এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছে- বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ আমেরিকান সাংবাদিক অস্টিন টাইসের ভাগ্য নিয়ে এই যোগাযোগ। আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য দলের সাথে যোগাযোগ করেছি।”
জর্ডানে আলোচনায় সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এতে অংশ নেওয়া আটটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা নিশ্চিত করতে চান যে, সিরিয়া একীভূত হবে এবং সাম্প্রদায়িক বিষয়ে বিভক্ত হবে না।
একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পর গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখলে নেয় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ওইদিনই বাশার আল আসাদ পালিয়ে রাশিয়া চলে যান। এর মধ্যদিয়ে তার ২৪ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে মোহাম্মদ আল–বশিরকে। ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
এদিকে, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম। বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই রুটটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নতুন পথ খোঁজার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়েও প্রত্যাশা করছেন তারা।
আপনার মন্তব্য লিখুন