২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৪, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন বিধান বাতিল চাওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী রিটটি করেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে।
রিটকারীদের আইনজীবীরা জানান, ইসি নিয়োগ নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না, ২০২২ সালের আইনে দায়মুক্তি দেওয়ার এমন বিধান অসাংবিধানিক। তারা মনে করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ইসির নিয়োগ ছিল অবৈধ। সে কারণে তাদের অধীন হওয়া নির্বাচনও অবৈধ।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। আমারা মনে করি এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয় তাহলে দুটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।’
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি লাগবে না
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট। সেই সাথে এই বিধানটিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক বলেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আপনার মন্তব্য লিখুন