ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্য নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। ইরানের ওপর হামলাকে পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা হিসেবে দেখানো হলেও এর মূল লক্ষ্য ছিল আরব বিশ্বে ইসরায়েলকে অপরাজেয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে এক ধরনের মিথ তৈরি হয়েছে, ইসরাইল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। যে দেশকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। ইসরাইলের এই মিথ এখন ভেঙে পড়েছে।
এর সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের অভিযানের মধ্য দিয়ে। এই হামলায় ইসরাইল নজিরবিহীন গোয়েন্দা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। গাজা সীমান্ত এলাকায় একাধিক সেনাক্যাম্প দখল করে হামাস দেড় শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করেছিল। নিহত হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি। যার মধ্যে ২৮৬ জন ছিল সেনাসদস্য।
এই যুদ্ধ যে ইসরাইলের জন্য কতটা বিপর্যয়কর ছিল, ইতোমধ্যে দেশটির বিশ্লেষকরা তা বলতে শুরু করেছেন, টাইমস অব ইসরাইলে ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডোর লিবারম্যান বলেছেন, ‘ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা সাফল্য সত্ত্বেও এই যুদ্ধের শেষটা ছিল তিক্ত। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পরিবর্তে আমরা এমন একটি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় প্রবেশ করছি, যারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করবে না।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমি সতর্ক করেছিলাম, আহত সিংহের চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু নেই। স্পষ্ট চুক্তি ছাড়া যুদ্ধবিরতি শুধু দু-তিন বছরের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ ডেকে আনবেÑআরো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
লিবারম্যানের সুরে বলতে হয়, সামনে ইসরাইলকে আরেকটি বড় যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। তখন হয়তো শুধু ইরান নয়, আরো কোনো দেশের হাতে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করার মতো শক্তিশালী মিসাইল ও পরমাণু অস্ত্র থাকবে
আপনার মন্তব্য লিখুন