পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার অধিকারের জন্য লড়াই করা ছয় ভারতীয় শিক্ষার্থীর সমর্থনে মুখ খুলেছেন। কর্ণাটক রাজ্যের একটি সরকারি কলেজের ওই শিক্ষার্থীদের কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা প্রতিবাদ হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা তা ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
একটি কলেজে শুরু হওয়া এই বিরোধ রাজ্যের মধ্যে আরও কয়েক জায়গায় ছড়িয়েছে এবং ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এর পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া লোকজনের মধ্যে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সব স্কুল ও কলেজ তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
কয়েকটি শিক্ষায়তনে কিছু শিক্ষার্থী পাল্টা হিসেবে হিন্দুত্ববাদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত গেরুয়া রঙের স্কার্ফ পরে ক্যাম্পাসে আসে। শিক্ষায়তনে হিজাব নিয়ে এই বিরোধটি ভারতে জাতীয় শিরোনাম হয়েছে। বিষয়টি এখন রাজ্যের উচ্চ আদালতেও উঠেছে।
আদালতে একজন শিক্ষার্থীর দায়ের করা পিটিশনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, হিজাব পরা ভারতের সংবিধানে নিশ্চিত করা একটি মৌলিক ধর্মীয় অধিকার।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী মালালা মঙ্গলবার ‘মুসলিম নারীদের প্রান্তে ঠেলে দেওয়া বন্ধ করার জন্য’ কিছু করতে ভারতের নেতাদের আহ্বান জানান।
View this post on Instagram
১৫ বছর বয়সে মালালা মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য পাকিস্তানে তালেবানের আক্রমণের শিকার হন। তালেবান সদস্যরা তাকে গুলি করলে গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রত্যন্ত সোয়াত অঞ্চলের বাসিন্দা মালালা।
২৪ বছর বয়সী এই অধিকার কর্মী টুইট করে বলেছেন, ‘মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে যেতে দিতে অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। … নারীদের বস্তু হিসাবে দেখা অব্যাহত রয়েছে। পোশাক কম বা বেশি পরা উভয়ের জন্য। ’
বিজেপি শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই সব ছাত্র, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কর্ণাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার কথা বলে মঙ্গলবার তিন দিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন